মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫
spot_img
শিরোনাম

ইয়েমেনে হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা

অনলাইন ডেস্ক

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে তিনটি বন্দর ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে। এর পাল্টা জবাবে হুতি গোষ্ঠী ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আরও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

রবিবার (৬ জুলাই) স্থানীয় সময়, আইডিএফ জানায় যে তারা লোহিত সাগর উপকূলে অবস্থিত হুদাইদাহ, রাস-ইসা এবং আস-সালিফ বন্দরে হামলা চালিয়েছে, পাশাপাশি আঘাত হেনেছে রাস কাথিব বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও। তারা দাবি করে, হুতিদের দখলে থাকা গ্যালাক্সি লিডার নামের একটি জাহাজে স্থাপিত রাডার ব্যবস্থাকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জাহাজটি এখনও হুদাইদাহ বন্দরে নোঙর করে আছে।

এ হামলায় এখনো পর্যন্ত হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। এটি ছিল গত এক মাসে ইয়েমেনে ইসরায়েলের প্রথম সামরিক হামলা। এর আগে একই দিনে, হুতিদের ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার দাবি করেছিল ইসরায়েলি বাহিনী।

ইয়েমেনের ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকা হুতি গোষ্ঠী পরদিন সোমবার (৭ জুলাই) ভোরে ইসরায়েলের দিকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইয়েমেন থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যেগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা চালানো হয়। হামলার পর জেরুজালেম, হেবরন এবং মৃত সাগর সংলগ্ন এলাকায় সাইরেন বেজে ওঠে।

ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই হামলায় কোনো প্রাণহানি বা উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। হুতি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলায় হতাহত ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তারা এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে।

২০২৩ সালে গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই হুতিরা ইসরায়েলের দিকে শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং লোহিত সাগরে ১০০টির বেশি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির সময় তারা হামলা স্থগিত করলেও, মার্চের ১৫ তারিখ যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে আঘাত হানার পর তারা পুনরায় হামলা শুরু করে। এরপরের কয়েক সপ্তাহে এসব হামলায় প্রাণ হারায় প্রায় ৩০০ জন।

- Advertisement -spot_img
spot_img

সর্বশেষ