আনোয়ারায় যুবলীগ নেতা সাদ্দাম মেম্বার ও তার ভাই আওয়ামিলীগ নেতা ইলিয়াস তার বাসায় নিয়মিত আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করে বিভন্ন ধরণেন নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বিএনপি-জামায়াতের নেতা কর্মীদের উপর হামলাসহ বিভিন্ন ধরণের মিটিং করেছে। বিভিন্ন মামলার আসামি হওয়ার পরও তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ উঠেছে।
তাদের বাড়ীতে প্রতি রাতে চলে নিয়মিত আওয়ামীলীগের গোপন বৈঠক। সেখানে চলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার,বিএনপি, জামামাত,এনসিপির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র। তার অপর ভাই ঈসমাইল দুবাই আওয়ামিলীগের প্রভাবশালী নেতা। গত কয়েকদিন থেকে আনোয়ারায় চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চিরুনি অভিযান। একরাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচ মেম্বারসহ অনেক আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী। তারপরও এই আওয়ামী দোসররা কীভাবে প্রকাশ্য তৎপরতা চালাই সেটাই প্রশ্নের বিষয় সাধারণ নেতাকর্মীদের । যুবলীগ নেতা সাদ্দামের ভাই আওয়ামিলীগ নেতা ইলিয়াস থানায় বসে প্রতিদিন সালিশী বৈঠকও করছে। এ নিয়ে বিএনপি -জামায়াতের সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সাদ্দাম মেম্বার ও তার ভাই আওয়ামিলীগ নেতা ইলিয়াস মিলে জাল ওয়ারিশ সনদ, জাল দলিল সৃজন করে এল এ শাখা থেকে বহু মানুষের টাকা উত্তোলন করে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আওয়ামিলীগ নেতা ইলিয়াস সালিশের নামে প্রতিপক্ষ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে একজনের জমি অন্যজনের নামে করে দিয়ে অনেক লোককে পথে বসিয়েছে।
মোহাম্মদপুর গ্রামের সামজাদ নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, এদের পুরো পরিবারটাই আওয়ামীলীগ। তারা এখনো নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারপরও কীভাবে প্রকাশ্যে কর্মকান্ড পরিচালনা করে তা আমাদের বুঝে আসেনা। সাদ্দাম মেম্বার এর আগে জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল। এখনো থানায় বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মনির হোসেন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। সুযোগ পেলেই গ্রেফতার করা হবে।
আনোয়ারায় যুবলীগ নেতা সাদ্দামের নেতৃত্বে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক