আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন করেছে পরিকল্পনা কমিশন। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। উন্নয়ন বাজেটে বরাবরের মতো এবারও বড় পাঁচ খাতেই ৭০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যার মধ্যে শুধু পরিবহন ও যোগাযোগ খাতেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৫ শতাংশ।
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য এডিপির আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ৮৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এডিপিতে মোট ২ লাখ ১৫ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা এক হাজার ১৪২টি প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বরাবরের মতো এবারও সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। মোট বরাদ্দের ২৫.৬৪ শতাংশ বা ৫৮ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে এ খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ১৪.০৮ শতাংশ বা ৩২ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে, শিক্ষা খাত পেয়েছে ১২.৪২ শতাংশ বা ২৮ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকা।
গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধা খাতে বরাদ্দ ৯.৯০ শতাংশ বা ২২ হাজার ৭৭৬ কোটি টাকা এবং স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭.৮৯ শতাংশ বা ১৮ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা।
এছাড়া, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৩ হাজার ৪৭২ কোটি, কৃষি খাতে ১০ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ খাতে ১০ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ৫ হাজার ৩৮ কোটি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি, ধর্ম, সংস্কৃতি ও বিনোদন খাতে ৩ হাজার ৬৭৫ কোটি, জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষা খাতে ২ হাজার ৭৭৭ কোটি, সামাজিক সুরক্ষা খাতে ২ হাজার ১৮ কোটি, সাধারণ সরকারি সেবা খাতে ১ হাজার ৮৭৭ কোটি এবং প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৭৫ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের মূল এডিপিতে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, যা সংশোধিত হয়ে ২ লাখ ১৬ হাজার কোটিতে নামানো হয়। আগামী অর্থবছরের মূল এডিপি ৩৫ হাজার কোটি টাকা কম হলেও সংশোধিত এডিপির তুলনায় ১৪ হাজার কোটি টাকা বেশি।
চলতি অর্থবছরে সরকারি অর্থায়ন ছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ ছিল ১ লাখ কোটি টাকা। কিন্তু আগামী অর্থবছরে সরকারি অর্থায়ন কমে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটিতে এবং বৈদেশিক ঋণ কমিয়ে আনা হয়েছে ৮৬ হাজার কোটি টাকায়।