চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার ওপর হামলাকারী ও ঘটনায় সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। একইসঙ্গে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ব্যবসায়িক পার্টনার বলে পরিচিত “রিগনাম” নামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন জনিকে টেন্ডার পাইয়ে দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী বলে অভিযোগ উঠেছে।
বলা হচ্ছে, নির্বাহী প্রকৌশলী মূল কাগজপত্র ছাড়া ফটোকপি দিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিলে ফরম বাতিলের নির্দেশ দিলেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত একটি সিন্ডিকেট সেই ফরম বৈধ রাখার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। অভিযোগ রয়েছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে বিগত ১৫ বছর ধরে একটি সিন্ডিকেট অসাধু অফিস স্টাফদের সঙ্গে যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার টেন্ডার কাজ নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
সাধারণ ঠিকাদারদের অভিযোগ, এই সিন্ডিকেটের দাপটের কারণে তারা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতেও ভয় পান। বৃহস্পতিবার সড়ক ও জনপথ বিভাগের রহমতগঞ্জ কার্যালয়ে টেন্ডার আহ্বান করা হলে রিগনাম প্রতিষ্ঠানের মালিক ওবায়দুল কাদেরের ব্যবসায়িক পার্টনার মোহাম্মদ হোসেন জনি মূল কাগজপত্র জমা না দিয়েই ফটোকপি দিয়ে অংশ নেন। অভিযোগ রয়েছে, টেন্ডার কমিটির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা নিয়ম ভেঙে তার ফরম বাতিল না করে বৈধতা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, “কেউ মূল কাগজপত্র না দিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিলে তার ফরম বাতিল হওয়া উচিত। কেন তা হয়নি, বিষয়টি আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।”